Saturday, August 23, 2025
HomeScrollস্ত্রী’র দেহ কুচিয়ে প্রেশার কুকারে সেদ্ধ, হাড় গুঁড়ো হামানদিস্তায়! নারকীয় হত্যাকাণ্ড

স্ত্রী’র দেহ কুচিয়ে প্রেশার কুকারে সেদ্ধ, হাড় গুঁড়ো হামানদিস্তায়! নারকীয় হত্যাকাণ্ড

হায়দরাবাদ: হায়দরাবাদে হাড়হিম (Hyderabad Incident) করা হত্যাকাণ্ড। স্ত্রীর দেহ (Wife Body) কুচিয়ে প্রেশার কুকারে (Pressure Cooker) সেদ্ধ করলেন স্বামী। ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী এক অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী (Retired ArmyPersonnel) । আর এই কথা পুলিশকে নিজেই জানিয়েছেন তিনি। ঘটনায় স্তম্ভিত পুলিশ (Police Investigation)। এই ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে তদন্ত শুরু হয়েছে।

সমাজের বুকে সবচেয়ে হাড়হিম করা ঘটনা সাক্ষী রেখেছিল ২০২২ সালে ঘটে যাওয়া দিল্লির শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ড। লিভসঙ্গী আবতাফ আমিন পুনাওয়ালা শ্রদ্ধার দেহ ৩৫ টুকরো করে কুচিয়ে দেহের টুকরোগুলি ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখে।

এবার সেই দিল্লির ধারা বজায় রাখল হায়দরাবাদ। একজন সেনাকর্মীর হাতে এই নৃশংসতা মানতে পারছে না পুলিশ। তবে অভিযুক্তের বয়ানের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: আজ থেকে বেশ কয়েক দিনের জন্য হাওড়া শাখায় বাতিল একাধিক ট্রেন

পুলিশ সূত্রে খবর, ১৬ জানুয়ারি থেকে বছর পঁয়তিরিশের বেঙ্কর মাধবী নিখোঁজ ছিলেন। ১৮ জানুয়ারি থানায় অভিযোগ জানানো হয়।

গত ১৬ জানুয়ারি থেকে বছর পঁয়ত্রিশের বেঙ্কট মাধবীর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। ১৮ জানুয়ারি স্থানীয় থানায় পরিবারের তরফে থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও করা হয়। স্বামীর সঙ্গে বনিবনা ছিল না। বাড়ি ছেড়ে চলে যান তিনি। মহিলার খোঁজে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। কবে তাঁকে শেষ দেখা গিয়েছিল, তা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। সেখানেই তথ্য উঠে আসে পুলিশের হাতে। নিখোঁজ মহিলার স্বামী গুরু মূর্তি পুলিশকে জানান, তিনি নিজেই নাকি স্ত্রীকে খুন করে দেহ টুকরো টুকরো করে প্রেশার কুকারে সেদ্ধ করে ফেলেছেন। বছর পঁয়তাল্লিশের মূর্তির সত্যি বলছেন কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

জানা গেছে, গুরু মূর্তি একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী। বর্তমানে তিনি একটি সংস্থায় নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কর্মরত। তাঁর দাবি, গত ১৫ জানুয়ারি তিনি স্ত্রীকে খুন করেন। অপরাধকে চাপা দিতে শরীরের মাংস এবং হাড় আলাদা করেন। মাংসের টুকরোগুলিকে প্রেশার কুকারে সেদ্ধ করে ফেলেন। হাড়গুলিকে হামানদিস্তা দিয়ে গুঁড়িয়ে ফেলেন। তিন দিন ধরে এই করেন তিনি। শেষে সেদ্ধ হওয়া মাংস এবং হাড়ের গুঁড়ো মীরপেট হ্রদে ফেলে দেন তিনি।

মূর্তির বক্তব্য শোনার পর মীরপেট হ্রদে মহিলার দেহাবশেষ খুঁজতে শুরু করেছে পুলিশ। দেহাবশেষ উদ্ধারে পুলিশি কুকুরও ব্যবহার করা হচ্ছে। বুধবার রাত পর্যন্ত পুলিশের নাগালে আসেনি কিছুই। গুরু মূর্তি মানসিকভাবে অসুস্থ কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

দেখুন অন্য খবর:

Read More

Latest News